BCS Written Preparation Bangla 2024

BCS Written Preparation Bangla

বিসিএস লিখিত: বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের দশ পরামর্শ

বিসিএসের তিনটি ধাপের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে পারলে কাঙ্খিত ক্যাডার পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
বিসিএস লিখিত বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র বিষয়ের মোট ২০০ নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন ৪৩তম বিসিএসে কৃষি ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত মো. ইমাম হোসেন জ্যোতি—
১. প্রথমে ৩৫তম থেকে ৪৫তম বিসিএস পর্যন্ত লিখিত প্রশ্ন সমাধান করে নিন। ব্যাকরণ অংশের (৩০ নম্বর) গুরুত্বপূর্ণ ও বারবার আসা টপিক নোট করে নিন।
বিসিএস ক্যাডার হওয়ার ধাপ সমূহ
বিগত প্রশ্ন সমাধান এবং প্রিলিমিনারির পড়া টুকু রিভিশন করলে আপনার এই অংশের প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। এজন্য মাধ্যমিক বোর্ড বই এবং যে কোনো গাইড বইয়ের বিগত প্রশ্ন সমাধান করে নিবেন আগে।
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম, শুদ্ধ বাক্য লিখন এবং বাগধারা বিষয়ক উত্তর যেন পরীক্ষকের নজরে পড়ে এমন স্বচ্ছ করে লিখুন।
২. বাংলা সাহিত্যের প্রস্তুতিটা বেশ টেকনিক্যাল। পরীক্ষার হলে এজন্য আপনি সময় পাবেন অল্প, তবে সাহিত্যসমৃদ্ধ ও তথ্যভিত্তিক অল্প লেখাও আপনাকে কাঙ্ক্ষিত মার্কস এনে দেবে এই অংশে। BCS Written Preparation Bangla
বিগত সালের প্রশ্ন, প্রাচীন ও মধ্যযুগ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিখ্যাত গ্রন্থ, পিএসসির ১১ জন সাহিত্যিক, পঞ্চপাণ্ডব কবি, সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ লেখক—বিশেষ করে যারা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ লিখে খ্যাতিমান; এমন টপিকগুলো অবশ্যই পড়ে যাবেন।
বিসিএস ভাইভা
বিগত প্রশ্নের ওপর ভিত্তি করে কোটেশন বা কবিতার লাইন মুখস্থ ও নোট করে রাখুন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করুন।
৩. ভাবসম্প্রসারণ তিনটি প্যারায় লিখুন। প্রথম প্যারায় ২-৩ লাইনে টপিকটির মূলভাব লিখুন। দ্বিতীয় প্যারায় টপিকটি বিশ্লেষণ করুন। উদাহরণ ও তৃতীয় প্যারায় পরামর্শমূলক কথা দিয়ে শেষ করুন।
এই অংশের প্রস্তুতিতে আপনি নবম-দশম শ্রেণিতে পড়েছেন অথবা আপনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এমন বিষয়ের ভাব সম্প্রসারণ লিখতে হবে।
তবে বিষয়টির প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কতটা উচ্চমানের ও গুছানো মূলত সেটিই পরীক্ষকের নজরে আসবে।
৪. সারমর্ম বা সারাংশ আপনার নিজের মতো করে সাহিত্যসমৃদ্ধ ২-৩টি লাইনে লিখুন। এর জন্য পূর্বে আপনি খসড়া করে নিবেন ঠিক কি লিখতে চান সে বিষয়ে।
এই অংশে ২০ নম্বর এবং যথেষ্ট সময় বরাদ্দ করতে হবে। আপনি চাইলে খাতায় সারাংশ লেখা শেষে আবারও সারাংশ লেখা যাবে এমন কিছুটা গ্যাপ রাখতে পারেন। এতে আপনার পরবর্তীতে সংশোধনের প্রয়োজন হলে সেটি কাজে লাগবে।
৫. চিঠি, প্রতিবেদন ও দরখাস্তের ফরম্যাটগুলো শিখে রাখুন। প্রতিবেদন লিখতে প্রতিবেদন সমস্যার বিস্তারিত, সমস্যার সমাধানে আপনার পরামর্শ প্যারা করে উল্লেখ করুন।
চিঠির খামে বিদেশি বন্ধুর কাছে চিঠির জন্য ইংরেজিতে লিখুন। চিঠিতে উল্লিখিত বিষয়ের সুস্পষ্ট বর্ণনা ও ব্যাখ্যা অথবা বিস্তারিত লিখুন।
৬. কাল্পনিক সংলাপ যেন গঠনমূলক আলোচনার, প্রশ্নোত্তর নির্ভর ও তথ্যবহুল হয়। চরিত্রগুলোকে বাস্তবিক আলোচনা ভিত্তিক রাখতে হবে।
BCS Viva Preparation
বাস্তব রুপ দিতে প্রয়োজনে ৩টি চরিত্র বা একটি সম্মিলিত চরিত্র আনুন। হাতে সময় থাকলে সংলাপের শুরুতে বিষয়, সংলাপ কারী, সংলাপের স্থান উল্লেখ করে দিন। সময়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ১৫ নম্বরের সংলাপ সমাপ্ত করুন।
৭. অনুবাদের ক্ষেত্রে আপনাকে ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করতে হবে। আপনি আক্ষরিক এবং ভাবানুবাদের যে কোনো একটি করবেন। BCS Written Preparation Bangla
ইংরেজি বিষয়ে ৫০ নম্বরের অনুবাদ প্রস্তুতি থাকায় আপনার এ অংশের আলাদা প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। তবে সার্বিক অনুবাদ প্রস্তুতিতে আপনি পত্রিকা থেকে অনুবাদ করতে পারেন।
৮. গ্রন্থ সমালোচনার ক্ষেত্রে বিগত প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে গুরত্বপূর্ণ বই সম্পর্কে ভালোভাবে পড়ুন। বিখ্যাত সাহিত্য ও বিভিন্ন জনের থেকে কমপক্ষে ১টি বই পড়ে রাখুন, সাথে লেখকের নাম এবং প্রকাশের সালসহ।
বঙ্গবন্ধুর লিখিত ৩টি বই, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বইগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় বইয়ের নাম উল্লেখ করে দিয়েছে।
তাই গুরুত্বপূর্ণ ও বিখ্যাত বইগুলো বেশি করে পড়ার বিকল্প নেই। এজন্য ফেসবুকে, গুগলে বিভিন্ন বিখ্যাত বই সার্চ দিয়ে রিভিউ পড়তে পারেন। BCS Written Preparation Bangla
ট্রাস্ট ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
৯. ৪০ নম্বরের রচনা পূর্বের মতো এখন কমন না পড়লেও বিষয়গুলো খুবই পরিচিত থাকে। তাই এজন্য বিগত প্রশ্ন ও দেশের ট্রেন্ডিং টপিকগুলো খেয়াল রাখলে কমন পাবেন।
বিগত বিসিএসে অপশন থাকলেও ৪৫তম বিসিএসে কোনো অপশন ছিল না।
তাই উপস্থিত জ্ঞান, ধারণার মিশেলে আপনার রচনা লিখতে হবে। ডাটা ও কোটেশনের চাইতে সাহিত্যসমৃদ্ধ লেখা, সঠিক বানান, বিষয়ের গভীরতা উপস্থাপন বিষয়ে মনযোগী হতে হবে।
রচনার আদ্যোপান্ত আপনি পয়েন্ট আকারে অথবা ভূমিকা দিয়ে লেখা আপনার উপস্থাপনকে স্পষ্ট করবে। ৪০ নম্বরের জন্য আপনি কত পৃষ্ঠা লিখবেন এটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।
বরং লেখার গুনাগুন আপনাকে নম্বর পেতে এগিয়ে দিবে।
১০. রচনার ৪০ নম্বরের জন্য আপনি কমপক্ষে ১ ঘন্টা বরাদ্দ করুন। সে ক্ষেত্রে আপনি সারাংশ বা সারমর্ম থেকে সময়টি পূরণ করতে পারেন।
এ ছাড়া ২০০ নম্বরের জন্য আপনি ২৪০ মিনিট সময় পাবেন। তাই প্রতিটি অংশের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করে লিখুন। কিছু সময় রাখুন খাতা জমা দেওয়ার পূর্বে রিভিশন দেওয়ার জন্য। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
আনিসুল ইসলাম নাঈম একজন সংগঠক, ফিচার লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী। BCS Written Preparation Bangla

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় গৃহীত কৌশল: বাংলাদেশের জন্য জন্য সুখবর হলো স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য ন্যূনতম ৫ বছর সময় পাওয়া যাবে।CDP’র সুপারিশ অনুযায়ী বাংলাদেশের উত্তরণ ২০২৬ সালে কার্যকর হবে। বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি

 বিসিএস ক্যাডার হওয়ার ধাপ সমূহ

সে পর্যন্ত বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের জন্য প্রযোজ্য সকল সুবিধা ভোগ করতে পারবে। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশ আরও তিন বছর অর্থাৎ ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এ সময়কালের মধ্যে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা অনেক বাড়াবে বলে আশা করা যায়। বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি

স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশ যে সকল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে তা মোকাবেলায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো-

# কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে সরকার উত্তরণের প্রস্তুতিকাল তিন বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছর নির্ধারণের সুপারিশ করেছে। এ সময়কালে অর্থাৎ, ২০২৬ সাল পর্যন্ত সকল আন্তর্জাতিক সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত থাকবে।

# বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)-এর এলডিসি গ্রুপ স্বল্পোন্নত দেশ সংক্রান্ত সকল বাণিজ্য সুবিধা যাতে উত্তরণের পর আরও ১২ বছর পর্যন্ত বহাল থাকে সে সম্পর্কে একটি প্রস্তাবনা পেশ করেছে।  বিসিএস পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি গাইডলাইন বুকলিস্ট !!

#  উত্তরণের পর ইইউ দেশগুলোতে GSP+ সুবিধা নেয়ার জন্য সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে ভুটানের সাথে অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন এবং আরও ১১টি দেশের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিয়েছে।

# দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সার্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্য অন্যান্য দেশের পণ্যের সাথে আরো বেশি প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে সক্ষম হবে। তাছাড়া এফডিআই বাড়ানোর জন্য সরকার ব্যবসা সহজীকরণ সূচক উন্নয়নের লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

উত্তরণের ফলে সৃষ্ট সুযোগগুলিকে কাজে লাগানো এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কী কী করা যেতে পারে সে সম্পর্কে খাতভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার কাজ শুরু করা হয়েছে।

# ২০১৬ সালেই বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশকে‘ব্লেন্ড কান্ট্রি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ফলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উচ্চ সুদ পরিশোধে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। সুতরাং সহজ শর্তে ঋণ না পেলেও খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা না।

# সর্বোপরি উত্তরণ পরবর্তী সময়ের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য আসন্ন প্রস্তুতিকালে সরকার সকল অংশীজন, বেসরকারি খাত, উন্নয়ন ও বাণিজ্য সহযোগী, সুশীল সমাজ-এর সাথে নিবিড়ভাবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি উত্তরণ কৌশল তৈরির কাজ হাতে নিয়েছে। BCS

পরিশেষে বলা যায় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে বাংলাদেশের অনেক দিন লেগেছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মত আনুষ্ঠানিকভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের তিনটি সূচকের সকল মানদন্ড পূরণের স্বীকৃতি পায়। BCS Written Syllabus

২০২১ সালে পাঁচ বছরের প্রস্তুতিকালসহ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের চূড়ান্তভাবে সুপারিশ লাভ করে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
………………….
মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম
৩১তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা)

চাকরির প্রস্তুতি নিতে ভিজিট করুন: ক্লিক করুন

বিসিএস প্রস্তুতি নিতে ভিজিট করুন: ক্লিক করুন

চাকরি বিজ্ঞাপন দেখতে ভিজিট করুন: ক্লিক করুন

চাকরির ভাইভা প্রস্তুতি নিতে ভিজিট করুন: ক্লিক করুন

চাকরির প্রস্তুতি নিতে ভিজিট করুন:  ক্লিক করুন

পরিক্ষার প্রস্তুতিমূলক বিভিন্ন PDF এবং অন্যান্য বিষয়ের আপডেট জানতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন: ক্লিক করুন

অথবা ফেসবুক পেজে লাইক দিন – ক্লিক করুন